রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:২৬ অপরাহ্ন

“কেয়ামতের দিন যে সুরা আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে”

প্রতিনিধির নাম / ৮৪২ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২
``কেয়ামতের দিন যে সুরা আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে''

ধর্ম ডেস্ক।। “কেয়ামতের দিন যে সুরা আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে”।

পবিত্র কোরআনের ৬৭ তম সুরা আল-মুলক। এর আয়াত সংখ্যা ৩০টি এবং রূকুর সংখ্যা ২টি। সুরা আল-মুলক মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সুরা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন হাদিসে এসেছে, সুরা মুলক তেলাওয়াতকারীর জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে এবং তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহর কিতাবে ৩০ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা রয়েছে, যা এক ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করে তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছে। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস: ৩৮৩৮; আল-মুন্তাখাব মিন মুসনাদি আবদ ইবনু হুমাইদ, হাদিস: ১৪৪৫)

আমলকারীর পক্ষে ওকালতি করবে সুরা-মুলক
কেবল সাধারণ সুপারিশ নয়, বরং এ সুরা তার আমলকারীর পক্ষে ওকালতি করবে। আমলকারীকে জান্নাতে না নেয়া পর্যন্ত তার পক্ষে লড়তে থাকবে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোরআনে ৩০ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা রয়েছে, যা তার আমলকারীকে জান্নাতে প্রবেশ করানো পর্যন্ত তার পক্ষে ওকালতি করেছে, তার পক্ষে লড়েছে। তা হলো- সুরা তাবারাকা (সুরা মুলক)। (আল-মুজামুল আওসাত লিত-তবারানি, হাদিস: ৩৬৫৪; আল-মুজামুস সগির, তাবারানি, হাদিস: ৪৯০; আল-আহাদিসুল মুখতারাহ, যিয়া আলমাকদিসি, হাদিস: ১৭৩৮; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদিস: ১১৪৩০)

সুতরাং যে ব্যক্তি এ সুরা তিলাওয়াত করবে, এর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে আশা করা যায়, সে এর সুপারিশ লাভ করবে এবং ক্ষমা ও জান্নাত লাভে ধন্য হবে।

নবীজি রাতে সুরা মুলক তিলাওয়াত না করে ঘুমাতেন না
নবীজি (সা.) অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে সুরা মুলক তিলাওয়াত করতেন। এমনকি রাতে সুরা মুলক এবং সুরা সাজদাহ তিলাওয়াত না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না। জাবের (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.) সুরা সাজদাহ ও সুরা মুলক তিলাওয়াত না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৪০৪; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৩৫৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৪৬৫৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ২৯৮১৬; আল-আদাবুল মুফরাদ, বুখারি, হাদিস : ১২০৭; সুনানে দারিমি, হাদিস : ১০৪০)

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ