রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:১০ অপরাহ্ন

বাবা হয়ে পরীর উদ্দেশ্য যা বললেন রাজ

প্রতিনিধির নাম / ৪০৪৪ বার
আপডেট : বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০২২

পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। বাবা হলেন অভিনেতা শরিফুল রাজ। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন পরী। সন্তান ও মা উভয়ে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রীর স্বামী রাজ।

তাদের পরিবারে নতুন সদস্য আগমনের সুখবরটি ফেসবুকেও ভক্ত-শুভাকাঙক্ষীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন ‘পরাণ’ সিনেমার আলোচিত এই অভিনেতা। পরীর সঙ্গে বিয়ের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে রাজ লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। অভিনন্দন আমার প্রিয় বউ পরীমণি। এটা আমাদের পুত্রসন্তান।’
আরো পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে চারজন মুসলিমকে হ’ত্যার ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য
যাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ: বেবিচকের ক্ষোভ

এর আগে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাজ বলেন, ‘বাবা হয়েছি। মা ও ছেলে উভয় সুস্থ আছেন। সবাই দোয়া করবেন। এই মুহূর্তের আনন্দ আসলে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যারা বাবা-মা হয়, কেবল তারাই এটা বুঝবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘শেষ কটা দিন ওর সঙ্গে সবসময় ছিলাম আমি। প্রতিটি দিন নতুন নতুন অনুভূতির স্পর্শ পেয়েছি আমরা। অবশেষে আমাদের সন্তান আমাদের কাছে এসেছে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। তবে খবরটি প্রকাশ্যে এনেছেন এ বছরের ১০ জানুয়ারি। একইদিন ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে সারেন তারা। এবার তাদের ঘর আলোকিত করে এল পুত্রসন্তান। নতুন খবর দেশে ডিজেল আছে ৩০ দিনের, অকটেন-পেট্রল ১৮ দিনের প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, ১০ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ জানিয়েছেন, দেশে ৩০ দিনের ডিজেল এবং অকটেন ও পেট্রল মজুত আছে ১৮ দিনের। আজ বুধবার (১০ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিপিসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এবিএম আজাদ জানান, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্রতি লিটার ডিজেলে ১২০ টাকা খরচ হচ্ছে বিপিসির, এ ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি ৬ টাকার মতো লোকসান দিতে হচ্ছে। তবে অকটেনে ২৫ টাকার মতো লাভ হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রায় সব ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। ক্রুডের কারণে পেট্রোল ও অকটেনের দাম বাড়ে। সুতরাং পেট্রোল ও অকটেনের দাম কৌশলগত কারণে বাড়াতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত জ্বালানি খাতে ক্রমাগত লোকসান গুণতে হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫৩ হাজার ৫ কোটি টাকার মতো। এ খাতে ভর্তুকির বিনিময়ে সরকার

বিভিন্ন সময়ে ৪৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকার মতো বিপিসিকে প্রদান করে। ওই সময়ে আরও প্রায় ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল, যা পরে বিপিসির মুনাফার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা জানেন, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত সেটি বহাল আছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে আমাদের প্রতি ব্যারেল

কেনার খরচ পড়ত প্রতি ডলারে ৯৬ দশমিক ৯৫ ডলার। প্রতি লিটারে আমরা যখন এটাকে কস্টিং করি, প্রতি লিটার পরে ৮৩ টাকা ৬ পয়সা। ওই সময়ে বিপিসি বিক্রয় করতো ৮০ টাকা করে। সেখানে লিটারে ৩ টাকার মতো লোকসান ছিল। তিনি বলেন, আবার ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন প্রতি মার্কিন ডলার ব্যারেল ১০৮ ডলার ৫৫ সেন্ট, সেটাকে টাকায় প্রতি লিটারে কনভার্ট করলে

হয় ৮৯ টাকা ৮৫ পয়সা। তখনও বিপিসি বিক্রি করেছে ৮০ টাকা লিটার। যে কারণে ওই মাসে ৯ টাকার মতো লোকসান গুনতে হয়েছে। এ ফর্মুলায় গত জুলাই মাসে প্রতি ব্যারেল মূল্য ছিল ১৩৯ দশমিক ৪৩ ডলার, টাকায় প্রতি লিটারে কনভার্ট করলে খরচ পড়ত ১২২ টাকা ১৩ পয়সা। তখনও ওই তেল বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। এভাবে তেলের দাম বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে প্রতি লিটারে লোকসান এসে দাঁড়িয়েছিল ৪২ টাকা ১৩ পয়সা।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দেশের বাজারে তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর অকেটন প্রতি লিটার ১৩৫ ও পেট্রল ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হয়।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ